Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৭ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করার আপত্তি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক সাতক্ষীরা

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একটি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কৃষ্ণা রায়ের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আশাশুনি উপজেলাবাসীর পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এএম রিয়াছাত আলী বিশ্বাসের ছেলে নু. আ. ম. মুরতাজা আলীসহ একাধিক সংক্ষুব্দ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর হতে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় আশাশুনি ও শ্যামনগর পৃথক ২টি সংসদীয় আসন ছিল। একটি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি) আসন ও অপরটি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা -৫ (শ্যামনগর উপজেলা) আসন। যা ছিল ভৌগলিকভাবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্যোগপূর্ণ উপকূল এলাকা বিবেচনায়।
এরপর বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে জামায়াত ও বিএনপির বেজ এলাকা বাছাই করে শুধু ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় বেশ কিছু সংসদীয় এলাকায় আসন কমিয়ে তাদের সুবিধামত ঢাকা সহ আরো কিছু জায়গায় আসন বৃদ্ধি করা হয়। তারই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা ৩ ও ৪ আসন গঠিত হয়ে ১টি আসন কমানো হয়। কিন্তু এবার আশাশুনি ও শ্যামনগরকে ১টি মাত্র সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৪ আসন করায় বিষয়টি সমাধান না হয়ে আরো জটিল হয়েছে। কারণ ভৌগলিক দিক থেকে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা অনেক বিস্তৃত ও নদী বহুল অঞ্চল। আশাশুনি নদী দিয়ে চার খন্ডে বিভক্ত, শ্যামনগর তিন খন্ডে বিভক্ত। এছাড়া আশাশুনির সাথে শ্যামনগরের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নাই। শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম উপজেলা, আশাশুনিও তার পাশাপাশি বড়। ২টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক দুর্গম ও খারাপ।
স্মারকলিপিতে  আরো বলা হয়, প্রতি বছর আশাশুনির বেতনা, মরিচ্চাপ, গলঘেষিয়া, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ২০টি পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। একইভাবে শ্যামনগর উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, যা একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে তদারকি করা দুরূহ।
এছাড়া এ বিশাল এলাকার ১০লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পিং করা ১জন সংসদ সদস্যের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গনসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর তদারকি করা কঠিন। তাই ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে ভৌগলিক অবস্থান, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উপকূল এলাকা হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে আশাশুনি উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলাকে দুটি সংসদীয় আসন হিসেবে ফিরিয়ে আনা জরুরী।
জনস্বার্থে আসন পুনর্বিন্যাসের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আশাশুনি উপজেলাকে ১টি সংসদীয় আসন করতে আবেদন জানান হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন